নোয়াখালী জেলা শিল্পকলা একাডেমীর জনসেবামূলক কার্যক্রম ও অনুষ্ঠানমালার বিবরণ
সংস্কৃতির চর্চার মান উন্নয়ন লালন, পরিচর্যার মাধ্যমে গতিশীল করার প্রচেষ্ঠায় নোয়াখালী জেলা শিল্পকলা একাডেমী কর্তৃক বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয়ভাবে প্রশিক্ষণ কর্মশালা স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা এবং অনুষ্ঠানমালার আয়োজনের মাধ্যমে নিম্নোক্তভাবে জনসেবামূলক কাজ করে চলছে।
২১ ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১৭ মার্চ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেক মুজিবুর রহমান এর জন্ম দিবস উদযাপন করা হয়।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন। এ উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমী কর্তৃক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২৭ মার্চ বিশ্ব নাট্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে র্যালী, আলোচনা সভা ও পথ নাটক মঞ্চায়ন করা হয়।
১ বৈশাখ ১৪ এপ্রিল নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ৩ দিন ব্যাপী জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২৫ বৈশাখ ৮ মে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২২ শ্রাবন বিশ্বকবি রবীনদ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকী পালন, ১২ ভাদ্র জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়।
১৫ আগষ্ট জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রতিযোগীতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সপ্তাহ ব্যাপী বই মেলা আয়োজন করা হয়। বইমেলায় ঢাকা থেকে বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা ও স্থানীয় প্রকাশনা সংস্থা ও পুস্তক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেন।
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নোয়াখালীর বিশিষ্ট শিল্পী ও জেলা শিল্পকলা একাডেমী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক ও ছাত্র/ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশে টেলিভিশন এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেল সহ বেতার কেন্দ্রে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর ছাত্র/ছাত্রী ও নোয়াখালীর শিল্পীদের দ্বারা ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড তুলে ধরা হয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমী ভবনে ১টি অত্যাধুনিক মিলনায়তন রয়েছে। লাইট সাউন্ড ও হল রুমের দুই পাশে গ্রীন রুম রয়েছে।
মিলনায়তন বরাদ্দ নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা যায়। সরকারী/বেসরকারী অনুষ্ঠান করা হয়।
একাডেমী আয়োজিত জাতীয় অনুষ্ঠানসমূহ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এবং সকলেই উপভোগ করতে পারেন।
জেলার সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিল্পী কলা কুশলীদের নাম ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্য একাডেমীতে সংরক্ষণ করা হয়।
নতুন শিল্পী সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিভা অন্বেষণ এবং উৎসাহ প্রদানে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, সাধারণ সঙ্গীত, উচ্চাঙ্গ নৃত্য, সাধারণ নৃত্য, আবৃত্তি, বাদ্যযন্ত্র, চারুকলা প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমী কর্তৃক পরিচালিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের বিবরণ
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর প্রণীত সিলেবাস অনুযায়ী সঙ্গীত, নৃত্য, তালযন্ত্র, চারুকলা ও নাটক বিষয়ে সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ২ দিন বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রশিক্ষণের বিষয়ঃ
১। সঙ্গীত ঃ সাধারণ সঙ্গীত, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
২। নৃত্য ঃ সাধারণ নৃত্য, উচ্চাঙ্গ নৃত্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
৩। নাটক ঃ (নাট্য ও আবৃত্তি) প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
৪। চারুকলা ঃ সকল মাধ্যমে ছবি আঁকার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
৫। তালযন্ত্র ঃ তবল ও অন্যান্য তালযন্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
৪ (চার) বৎসর মেয়াদী কোর্সে স্বল্প ব্যয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণ কোর্স শেষে সনদ দেয়া হয়।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনায় ১০ জন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক ও সহকারী দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
প্রশিক্ষণ বিভাগে ৫ম শ্রেণী/১০ বৎসর থেকে এবং তদুর্ধ বয়সী শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারেন।
উল্লেখিত বিষয়ে যে কোন আগ্রহীগণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারেন।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রমঃ
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর ব্যবস্থাপনায় সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি, নাটক, চারুকলা ও তালযন্ত্র বিষয়ে কখনও কখনও ৭ দিন, ১৫ দিন, ১ মাস ব্যাপী উচ্চতর প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করা হয়ে থাকে। উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দেশের প্রখ্যাত প্রশিক্ষক বৃন্দ প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস